কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি ডিপফেক বা ভুয়া ভিডিওর মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্বাস্থ্যবিষয়ক বিপজ্জনক তথ্য ছড়াচ্ছে। এসব তথ্যকে বিশ্বাসযোগ্য করতে চিকিৎসকদের নকল বা ডিপফেক ভিডিও জুড়ে দেওয়া হচ্ছে। শুধু তা–ই নয়, সুপরিচিত চিকিৎসকদের নকল ফুটেজ এসব ভিডিওতে যুক্ত করে ক্ষতিকর চিকিৎসাপণ্যের প্রচারণাও চালানো হচ্ছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে এএফপি।
এএফপির প্রতিবেদনের তথ্যমতে, বৈজ্ঞানিক প্রমাণ ছাড়াই ভুয়া ভিডিওগুলোতে ডায়াবেটিসের জন্য প্রাকৃতিক পথ্যের তথ্য দেওয়া হচ্ছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এমনকি ডায়াবেটিসের জন্য বিখ্যাত ওষুধ মেটফরমিন নিয়েও ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এসব ভুয়া ভিডিওতে বলা হচ্ছে, এই ওষুধ মৃত্যুর কারণ হতে পারে৷ বয়োজ্যেষ্ঠদের লক্ষ্য করে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউবের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ডিপফেক ভিডিও প্রকাশ করা হচ্ছে। ভিডিওগুলোতে চিকিৎসক ও পরিচিত ব্যক্তিদের নকল ফুটেজ ব্যবহার করায় অনেকে প্রতারিতও হচ্ছেন।
স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভিডিওতে ছড়িয়ে দেওয়া ভুল তথ্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হতে পারে। এমনকি অনেকেই এসব তথ্যের কারণে ভুল চিকিৎসা শুরু করছেন। ব্রিটিশ চিকিৎসক জন কোরমার্ক বলেন, মানুষ এসব ভিডিও বিশ্বাসও করছেন, যা আশঙ্কার।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনলাইনে পাওয়া যেকোনো তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সেটির উৎস যাচাই করতে হবে। অবিশ্বস্ত উৎসের তথ্য সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। এআইয়ের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় ছবি, ভিডিওর মতো কনটেন্ট বা আধেয়গুলোও যাচাই করতে হবে। এ ছাড়া স্বাস্থ্যগত যেকোনো তথ্য ও পরামর্শের জন্য অবশ্যই সরাসরি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।